কিভাবে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করা যায়




🧾 জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে করার বিস্তারিত গাইডলাইন (বাংলাদেশ)


📌 ধাপ ১: সরকারি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন

প্রথমে বাংলাদেশের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবা প্রদানকারী সরকারি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে:

🔗 ওয়েবসাইট লিংক: https://bdris.gov.bd


📌 ধাপ ২: আবেদন ফরমে প্রবেশ করুন

১. ওয়েবসাইটের হোমপেজে গিয়ে উপরের মেনুতে বা মাঝখানে “জন্ম নিবন্ধনের আবেদন ফরম” বা
"Apply for Birth Registration" নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন।

২. সেখানে ক্লিক করলে একটি আবেদন ফরম খুলবে।


📌 ধাপ ৩: আবেদন ফরম পূরণ করুন

এই ফরমটি আপনাকে বাংলা ভাষায় পূরণ করতে হবে। নিচে প্রতিটি অংশের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:

🔹 ব্যক্তিগত তথ্য:

  • নাম (বাংলা ও ইংরেজি) – শিশুর পুরো নাম দিতে হবে।

  • জন্ম তারিখ – দিন-মাস-সাল আকারে।

  • জন্মের স্থান – হাসপাতাল/বাসা/অন্যান্য (যেটি প্রযোজ্য)।

  • লিঙ্গ – পুরুষ / মহিলা / তৃতীয় লিঙ্গ।

  • ধর্ম – ইসলাম / হিন্দু / বৌদ্ধ / খ্রিস্টান / অন্যান্য।

🔹 জন্মস্থান সম্পর্কিত তথ্য:

  • বিভাগ, জেলা, উপজেলা/থানা

  • ইউনিয়ন/ওয়ার্ড

  • গ্রাম/মহল্লা/রোড নং ইত্যাদি

🔹 পিতা ও মাতার তথ্য:

  • পিতার ও মাতার নাম (বাংলা ও ইংরেজি)

  • জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (যদি থাকে)

  • পেশা, ঠিকানা, নাগরিকত্ব

🔹 স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা:

  • পিতামাতার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা দিতে হবে।

🔹 যোগাযোগ:

  • মোবাইল নম্বর (যেটিতে যোগাযোগ করা যেতে পারে)


📌 ধাপ ৪: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ক্যান ও আপলোড করুন (যদি অনুরোধ করে)

সব ক্ষেত্রে আপলোড করতে না বললেও, কিছু সময় জন্মের প্রমাণপত্র বা অভিভাবকের পরিচয়পত্র সংযুক্ত করা লাগতে পারে:

✅ শিশুর জন্মের প্রমাণ (যেমন: হাসপাতালের সার্টিফিকেট / ডাক্তার প্রদত্ত জন্মপ্রমাণ)
✅ পিতামাতার NID বা জন্মনিবন্ধন নম্বর
✅ ছবি (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আবশ্যক না)


📌 ধাপ ৫: আবেদন জমা দিন

ফরম পূরণ শেষে "জমা দিন" বা Submit বাটনে ক্লিক করুন।

আপনার অনলাইন আবেদনের সফল সাবমিশনের পরে আপনি একটি Tracking Number (ট্র্যাকিং নম্বর) পাবেন। এটি সংরক্ষণ করুন, কারণ এর মাধ্যমে আপনি আবেদনটির অবস্থা জানতে পারবেন।


📌 ধাপ ৬: স্থানীয় জন্ম নিবন্ধন অফিসে যোগাযোগ করুন

অনলাইনে আবেদন করলেও সনদটি পেতে হলে আপনাকে নিচের যেকোনো একটিতে যেতে হবে (আপনার অবস্থান অনুযায়ী):

  • ইউনিয়ন পরিষদ অফিস (গ্রামাঞ্চলের জন্য)

  • পৌরসভা অফিস (মফস্বলের জন্য)

  • সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড অফিস (শহরের জন্য)

সঙ্গে নিন:

  • আবেদন ফরমের কপি (প্রিন্ট)

  • ট্র্যাকিং নম্বর

  • শিশু ও পিতামাতার পরিচয়পত্রের ফটোকপি

ওই অফিসে যাচাই-বাছাই করে জন্ম সনদ তৈরি করে দেবে।


📌 ধাপ ৭: জন্ম সনদের অবস্থা অনলাইনে ট্র্যাক করুন

আপনি চাইলে আপনার আবেদনটি এখন কোন অবস্থায় আছে তা এই লিংকে গিয়ে দেখতে পারেন:

🔗 https://bdris.gov.bd/br/application/status

👉 এখানে গিয়ে Tracking Number ও জন্ম তারিখ দিয়ে সাবমিট করলে আপনার আবেদনটির বর্তমান অবস্থা জানতে পারবেন।


🎯 কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:

  • শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করলে কোনো ফি লাগে না।

  • ৪৫ দিনের পর আবেদন করলে বিলম্ব ফি দিতে হতে পারে এবং অতিরিক্ত ডকুমেন্টেশন লাগতে পারে।

  • সব তথ্য সঠিকভাবে এবং বাংলা ভাষায় পূরণ করুন।


আপনি কোথা থেকে আবেদন করছেন? (উপজেলা, জেলা) – যদি বলেন, আমি নির্দিষ্ট করে আপনার এলাকার অফিস বা যোগাযোগ তথ্য দিতে পারি।

চাইলে আমি আপনাকে স্ক্রিনশটসহ বা ভিডিও গাইডের লিংকও দিতে পারি। বলুন, কীভাবে সাহায্য করতে পারি 😊

Previous Post Next Post